শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
General Knowledge 60+ questions For All Competitive Exam
বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
Indian Polity Mock Test Part- 02 for All WBP Lady Constable and Constable Exam
Indian Polity Mock Test Part- 02 for All WBP Lady Constable and Constable Exam
সুপ্রভাত বন্ধুরা,
1. Unto the last' বইটির লেখক কে?
[A] মহাত্মা গান্ধি
[B] জন রাস্কিন
[C] লিও টলস্টয়
[D] জন মিল।
2. "Man is born free, but he is every where in chains' - উক্তিটি কার?
[A] গান্ধিজির
[B] রুশাের
[C] লক -এর
[D] হবস্-এর।
3. রাজ্যের রাজ্যপালকে কে শপথ বাক্য পাঠ করান?
[A] হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি
[B] রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
[C] রাষ্ট্রপতি
[D] প্রধানমন্ত্রী।
4.ভারতীয় সংবিধানের কোন ধারায় রাজ্যের সকল প্রশাসনিক ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে অর্পণ করা হয়েছে?
[A] ১৫২ নম্বর ধারা
[B] ১৫৩ নম্বর ধারা।
[C] ১৫৪ নম্বর ধারা .
[D] ১৬০ নম্বর ধারা।
5. কততম সংবিধান সংশােধনের মাধ্যমে গােখা পার্বত্য পরিষদকে ষষ্ঠ তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ?
[A] ১০৭ তম
[B] ১০৮ তম
[C] ১০৯ তম
[D] ১০৬ তম
6. জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভারতে কবে গঠিত হয়?
[A] ১২ অক্টোবর, ১৯৯৩
[B] ১২ অক্টোবর, ২০০০
[C] ১২ অক্টোবর, ২০০১
[D] ১২ অক্টোবর, ২০০৩
7. ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যগণ কার দ্বারা নিযুক্ত হন?
[A] প্রধানমন্ত্রী
[B] রাষ্ট্রপতি
[C] প্রধান বিচারপতি
[D] মুখ্যমন্ত্রী
8. White Flag শব্দটি কোন্ অর্থে ব্যবহূত হয়?
[A] শান্তির প্রতীক
[B] যুদ্ধ বিরতির প্রতীক
[C] যুদ্ধজয়ের প্রতীক
[D] কোনােটিই নয়
9. ভারতে প্রথম কোন্ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারী হয় ?
[A] আসাম
[B] কেরালা
[C] পাঞ্জাব
[D] বিহার
10. ভারতের রাষ্ট্রপতি কার পরামর্শ মানতে বাধ্য থাকেন?
[A] লােকসভার স্পিকার
[B] মন্ত্রী পরিষদ।
[C] সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি
[D] মহাগণনা পরীক্ষক
11. রাজ্যসভার সদস্যদের কার্যকাল কত বছর হয়?
[A] ৫০ বছর
[B] ১০ বছর
[C] ৬ বছর
[D] ৮ বছর।
Indian Polity Mock Test Part- 02 for All WBP Lady Constable and Constable Exam
কুইজ | WBP Lady Constable and Constable Exam |
পূর্ণমান | 10 |
প্রশ্ন সংখ্যা | 10 |
সময় | 60 Second |
৬০ সেকেন্ড প্রত্যেকটি প্রশ্নের জন্য .
Quiz Result
Total Questions:
Attempt:
Correct:
Wrong:
Percentage:
সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
Indian Polity Mock Test Part- 01 for All Competitive Exam
Indian Polity Mock Test Part- 01 for All Competitive Exam
1.ভারতীয় সংবিধানের কোন্ অংশটি সংবিধান ব্যাখ্যায় সাহায্য করে ?
[A] প্রস্তাবনা
[B] রাষ্ট্রের নির্দেশমূলক নীতি।
[C] মৌলিক অধিকার।
[D] মৌলিক কর্তব্য।
2.কে ভারতীয় সংবিধানকে মূলতঃ সামাজিক একটি নথি হিসাবে উল্লেখ করেছেন?
[A] জী. অষ্টিন।
[B] কে.সি. হেয়ার
[C] ড. আম্বেদকর
[D] ঠাকুরদাস ভার্গব ।
3. ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের নতুন নাগরিকত্ব আইনটি কোন কমিটির সুপারিশ অনুসারে প্রণীত হয়?
[A] ভি.আর.চোপরা কমিটি
[B] বি.আর.সেন কমিটি
[C] এল.এস সিংভী কমিটি
[D] ড. এ.কে.রতন কমিটি
4.কোন মামলায় সুপ্রীম কোর্ট রায় দেয় যে প্রস্তাবনা হল ভারতীয় সংবিধানের একটি অংশ?
[A] মিনার্ভা মিলস মামলা
[B] কেশবানন্দ ভারতী মামলা
[C] মানেকা গান্ধি মামলা
[D] বেরুবাড়ী মামলা
5 . কোন দেশের সংবিধানকে আইনজীবিদের স্বর্গরাজ্য' বলা হয় ?
[A] ব্রিটেন
[B] ভারত
[C] আমেরিকা
[D] কানাডা
6. বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন ভারত সরকার কবে পাস করে?
[A] ২০০০
[B] ২০০১
[C] ২০০৩
[D] ২০০৭
7. কেশবানন্দ ভারত বনাম কেরল রাজ্য মামলা কত খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল?
[A] ১৯৭৩
[B] ১৯৮৩
[C] ১৯৯৫
[D] ১৯৬২
৪.কে প্রস্তাবনাকে সংবিধানের আত্মা বলে মনে করতেন?
[A] জী. অষ্টিন
[B] ঠাকুরদাস ভার্গব ।
[C] আরনেস্ট বার্কার
[D] এম.ভি. পাইলি
9.১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে নাগরিকত্ব আইনটি আবার কত খ্রিস্টাব্দে সংশােধিত হয়?
[A] ২০০৬
[B] ২০০১
[C] ২০০৩
[D] ২০০৭
10. বিশ্বের কোন দেশ প্রথম সংবিধানের পূর্বে একটি প্রস্তাবনাকে যুক্ত করেছিলেন?
[A] আমেরিকা
[B] জাপান
[C] ভারত
[D] চীন।
11.কে প্রস্তাবনাকে Political Horoscope' বলে মন্তব্য করেছিলেন?
[A] কে এম মুন্সী।
[B] কে.সি. হােয়ার
[C] আরনেষ্ট বার্কার
[D] এম ভি পাইলি
12. ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন কোন্ খ্রিস্টাব্দে পাশ হয়?
[A] ১৯৫০
[B] ১৯৫৫
[C] ১৯৬৭
[D] ১৯৫৩
13. কে মন্তব্য করেছিলেন যে, প্রস্তাবনা চাবিকাঠি ?
[A] জী অষ্টিন
[B] কে.সি. হােয়ার
[C] আরনেষ্ট বার্কার।
[D] ড. বি.আর আম্বেদকর
14. Principles of Social and Political Theory বইটির লেখক কে?
Indian Polity Mock Test Part- 01 for All Competitive Exam
কুইজ |
Indian Polity Mock Test |
পূর্ণমান |
10 |
প্রশ্ন সংখ্যা |
11 |
সময় |
60 Second |
৬০ সেকেন্ড প্রত্যেকটি প্রশ্নের জন্য .
Quiz Result
Total Questions:
Attempt:
Correct:
Wrong:
Percentage:
রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২১
ভারতীয় অর্থনীতির ইতিহাস - History of Indian Economy
ভারতীয় অর্থনীতির ইতিহাস
ভারতীয় রাজনীতি, সমাজব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক কাঠামাে বহুকাল পর্ব থেকেই যথেষ্ট বৈচিত্র্যময়। এর কারণ হিসাবে যেমন ভারতবর্ষের বিশাল মানচিত্রের আকৃতিও প্রতীয়মান, ঠিক তেমনি ভারতের বিপল সঞ্জিত সম্পদের আকর্ষণে বিভিন্ন সময়ে বাহরাগত জাতিদের প্রবেশ এবং দখলদারী রাজত্বও সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত।
আর সেই সুত্র ধরেই শাসনকার্যের সুবিধার্থে রাজনৈতিক প্রসারের উদ্দেশ্যেহ বিভিন্নভাবে বিভিন্নরকম অর্থনৈতিক কাঠামাে পরিলক্ষিত হয়। বিনিময় প্রথা পরিবর্তিত হয়ে কড়ি, মােহর এবং ধীরে ধীরে তা পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক অর্থব্যবস্থা (Modern financial system)-তে রপান্তরিত হয়েছে বিশ্ব বাণিজ্যের সাথে সাম্যবস্থা বজায় রেখে অবশ্যই।
প্রাক ব্রিটিশ রাজত্বে আমরা মূলত বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণমুদ্রা (মােহর), রৌপ্য বিনিময় অথবা কোনাে কোনাে অঞ্চলে প্রাচীন বিনিময় প্রথাও দেখতে পাবাে। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনকালীন সময়ে ভারতীয় অর্থনীতিতে পাশ্চাত্য আধুনিক অর্থব্যবস্থার বিভিন্ন রূপ প্রযুক্ত হতে থাকে এবং ব্রিটেনের শিল্পবিপ্লব (১৮৪২) র ছোঁয়ায় ভারতীয় অর্থনীতি ক্রমাগত বিবর্তিত হতে থাকে ঔপনিবেশিকতার (colonialism) আড়ালে। তবে এই বিবর্তন সবক্ষেত্রে ভারতীয় আভ্যন্তরীণ সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছে, বলা ভুল- বিভিন্নভাবে ভারতীয় অর্থনীতি ও সম্পদ ক্ষয়ীভূত হয়েছে অসম বিনিময় (unequal exchange) এবং আভ্যন্তরীন শােষন-এর কারণে।
ব্রিটিশ রাজত্বে ভারতীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কিছু বিবর্তন নিম্নে উল্লেখ করা হল
(ক) ভূমিরাজস্ব নীতি :
ভারতের বৃহৎ আকৃতি এবং বিভিন্ন জাতির সহাবস্থানের কারণে সব জায়গাতে একই ভূমিরাজস্ব নীতি প্রয়ােগ করা ইংরেজদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন অঞলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছিল। তাই বিশেষ কিছু অঞলের জন্য বিশেষ নীতি প্রযুক্ত হয়েছিল।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (Permanent Settlement) :
১৭৯৩ সালে কর্ণওয়ালিশ মূলত বঙ্গদেশ (অধুনা বিহার, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) অঞলে এটি প্রয়ােগ করেন। এর মাধ্যমেই জমিদারী প্রথা-র উন্মেষ ঘটেছিল এবং জমিদাররেরা সংশ্লিষ্ট অঞলের ভূমিরাজস্ব আদায় করতেন, এই শর্তে যদি ভবিষ্যতে উৎপাদন বাড়ে সেক্ষেত্রে জমিদার বেশী রাজস্ব দাবি করতে পারবেন না এবং এর বিনিময়ে বিভিন্ন সময়ে সরকারি সহায়তা যেমন ‘যৌতুক ও ভেট’ লাভ করবেন। এই প্রথায় বংশপরম্পরায় ক্ষমতার হস্তান্তর ঘটে থাকত।
মহলওয়ারি ব্যবস্থা :
১৮৩৩ সালে লর্ড বেন্টিঙ্ক দ্বারা প্রযুক্ত হয় সর্বপ্রথম আগ্রা ও আওয়াধ এবং ধীরে ধীরে সমগ্র পাঞ্জাবে ব্যপ্ত হয়। 'মহল’ কথাটির অর্থ গ্রাম, অর্থাৎ এই ব্যবস্থায় প্রতিটি গ্রামকে এক 'একটি একক’ (unit) ধরা হত এবং সম্মিলিতভাবে একটি গ্রাম কমিটির মাধ্যমে রাজস্ব জমা হত।
রাওয়াতওয়ারী ব্যবস্থা :
১৮২০ সালে থমাস মনরাে এই ব্যবস্থাটি প্রয়ােগ করেছিলেন দক্ষিণ মাদ্রাজ, বােম্বাই, পূর্ব পাঞ্জাব এবং আসামের কিছু অংশে। এক্ষেত্রে জমিদারী বন্দোবস্ত সাময়িকভাবে প্রযুক্ত হয়েছিল। তবে ১৮৪০ সালের মধ্যেই এই ব্যবস্থা অবলুপ্ত হয়েছিল কারণ নিযুক্ত রাওয়াত’ এরা উদ্বৃত্ত মুনাফার বেশী অংশ দাবী করেছিল যা ব্রিটিশ নীতির পরিপন্থি ছিল।
(খ) সেচ ব্যবস্থা :
কিছু ভারতীয় অর্থনীতিবিদ (জাতীয়তাবাদী), যেমন— বিধানচন্দ্র, রমেশচন্দ্র দত্ত প্রমুখের মতানুসারে কৃষিব্যবস্থা সম্পর্কে ব্রিটিশদের অপ্রতুল জ্ঞান ভারতীয় কৃষির উন্নয়নের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও লর্ড ডালহৌসির সময়কালে, ১৮৫৫ সালে 'পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতীয় সেচ ব্যবস্থার সাময়িক উন্নয়ন ঘটানাে হয়েছিল।
• ১৮২১ সালে 'পশ্চিম যমুনা খাল’ এবং ১৮৩০ সালে পূর্ব যমুনা খাল সংস্কারের মাধ্যমে ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী প্রথম সেচকার্য ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। এছাড়াও ১৮৫৪ সালে কোম্পানী কর্তৃক ‘গঙ্গাখাল’ উন্মুক্তকরণ ও সংস্কার প্রকল্প গৃহীত হয়েছিল, হিসাব অনুযায়ী যার মূলধনী খরচ ছিল প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলার।
•পরবর্তীকালে আন্তঃরাজ্য সেচব্যবস্থার উন্নতি ঘটানাের জন্য সুক্কুর (Sukkur) ব্যারেজ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, যাকে বলা হয় কোম্পানী কর্তৃক গৃহীত সর্বাপেক্ষা বৃহৎ সেচ প্রকল্প।
(গ) রেলব্যবস্থা :
মূলত দুটি বেসরকারী কোম্পানী :
(ঘ) মুদ্রাব্যবস্থা :
মূল্যায়ন :
রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১
বিধানসভা ও বিধানসভা পরিষদের কার্যপ্রণালী
বিধানসভা ও বিধানসভা পরিষদের কার্যপ্রণালী
![]() |
বিধানসভা ও বিধানসভা পরিষদের কার্যপ্রণালী - Procedures of the Legislative Assembly and the Legislative Assembly |
ভারতীয় সংবিধানের ১৬৮ নং ধারা অনুযায়ী রাজ্যের আইনসভা একটি বা দুটি কক্ষ থাকতে পারে। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের আইনসভা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট (বিধানসভা ও বিধানপরিষদ) ছিল। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট অর্থাৎ শুধু বিধানসভা রয়েছে।
ত্রিপুরা আইনসভাও এক কক্ষ বিশিষ্ট। বিধানসভা নিম্নকক্ষ এবং বিধানপরিষদ উচ্চকক্ষ। বর্তমানে ২৯টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে অন্ত্রপ্রদেশ (সীমা), বিহার, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের আইনসভা দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।
এককক্ষ বিশিষ্ট অর্থাৎ শুধুমাত্র বিধানসভার অস্তিত্ব থাকবে বাকী রাজ্যগুলিতে। সংবিধানের ১৭০ নং ধারানুযায়ী রাজ্য বিধানসভা অনধিক ৫০০ জন এবং সর্বনিম্ন ৬০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ২৯৪ জন। সংবিধানের ৩৩৩ নং ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল প্রয়ােজনে একজন অ্যালাে-ইন্ডিয়ান সদস্যকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মনােনীত করতে পারেন। ত্রিপুরা বিধানসভা ৬০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সদস্য ৪০০ জনকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা গঠিত।
বিধানসভার সদস্য হওয়ার জন্য যে যােগ্যতাগুলি প্রয়োজন হয় :
১) প্রার্থীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। ২) প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভােটার হতে হবে। ৩) ন্যূনতম ২৫ বছর বয়স হতে হবে। ৪) কোন সরকারী চাকুরি বা লাভজনক পদে থাকা চলবে না। ৫) একাধিক রাজ্য আইনসভার সদস্য থাকা যাবে না। ৬) একই সঙ্গে সাংসদ ও বিধায়ক থাকা যাবে না। ৭) আদালত কর্তৃক বিধিনিষেধ প্রভৃতি।
রাজ্য বিধানসভার কার্যাবলী :
বছরে অন্ততপক্ষে দু’বার বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে হবে। অধিবেশন শুরু হবে রাজ্যপালের ভাষণের মধ্য দিয়ে। দুটি অধিবেশনের মধ্যে ছয় মাসের কম ব্যবধান থাকতে হবে। বিধানসভার মােট সদস্য সংখ্যার দশ ভাগের একভাগ সদস্য উপস্থিত থাকলেই বিধানসভার গণপূর্তি l(Quorum) হয়।
সভার কাজ পরিচালনার জন্য বিধানসভার সদস্যদের মধ্যে অধ্যক্ষ বা স্পীকার এবং উপাধ্যক্ষ বা ডেপুটি স্পীকার নির্বাচন করা হয়। স্পীকার সাধারণত ভােট দেন না, তবে ভােট সংখ্যা সমান (Tie) হলে তিনি নির্ণায়ক ভােট (Casting) দেন।
বিধানসভার প্রধান কাজ হল আইন প্রণয়ন করা। রাজ্য তালিকাভুক্ত ও যুগ্ম তালিকাভুক্ত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করতে পারে। বিধানসভা কর্তৃক গৃহীত কোন আইনের সঙ্গে সংবিধানে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে ওই আইন অবৈধ হয়ে যাবে। রাজ্যের আয় ও ব্যয় মঞ্জুর করা, নতুন কর আরােপ করা বা সংশােধন করা ইত্যাদি কাজ বিধানসভার।
রাজ্যপালের সুপারিশ ছাড়া বিধানসভার কাছে ব্যয়-বরাদ্দের দাবী উত্থাপন করা যায় না। শুধুমাত্র অর্থমন্ত্রী বা মন্ত্রীসভার সদস্যরা বাজেট, অর্থবিল, করধার্য ইত্যাদি প্রস্তাব বিধানসভায় উত্থাপন করতে পারেন। মন্ত্রীসভাকে নিয়ন্ত্রণ করা বিধানসভার প্রধান দায়িত্ব। মন্ত্রিরা যৌথভাবে বিধানসভার কাছে দায়ী থাকেন। বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করে বা সরকারি প্রস্তাবকে পরাজিত করে মন্ত্রীসভাকে পদত্যাগে বাধ্য করা যায়। বিধানসভা হল রাজ্যের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ সংস্থা।
রাজ্য প্রশাসন :
মুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্যের প্রধান বাস্তব রাজনৈতিক প্রশাসক। রাজ্য রাজনীতি ও রাজ্য প্রশাসনের প্রধান নায়ক হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে প্রশাসন পরিচালনায় সাহায্য করেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়। অনেকগুলি মন্ত্রক (Ministry) নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রশাসন গঠিত হয়। যেমন অর্থমন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, শিল্পমন্ত্রক, উচ্চশিক্ষামন্ত্রক প্রভৃতি।
প্রতিটি মন্ত্রকের নেতৃত্ব দেন একজন করে মন্ত্রী। একটি মন্ত্রকের অধীনে একাধিক বিভাগ থাকতে পারে। রাজ্য প্রশাসনের সিংহভাগ গঠিত হয় অরাজনৈতিক পেশাগত প্রশাসকদের নিয়ে। রাজ্য প্রশাসনে একজন করে মুখ্যসচিব থাকেন।
মুখ্যসচিব পেশাগত প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদাধিকারী। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে কাজ করেন। রাজ্য সরকারের সকল মন্ত্রকের ওপর তার ক্ষমতা। ব্যপ্ত। মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান পরিমর্শদাতা হলেন মুখ্যসচিব। তিনি রাজ্য ক্যাবিনেটের সচিব হিসাবেও কাজ করেন। রাজ্য সরকারের যাবতীয় নির্দেশ মুখ্যসচিবের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভাগে পাঠানাে হয়।
সচিব :
জেলা প্রশাসন :
মহকুমা প্রশাসন :
ব্লক প্রশাসন :
শনিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২১
রাজ্যের শাসনকার্যে রাজ্যপালের ভূমিকা ও ক্ষমতা সমূহ
রাজ্যের শাসনকার্যে রাজ্যপালের ভূমিকা ও ক্ষমতা সমূহ
![]() |
রাজ্যের শাসনকার্যে রাজ্যপালের ভূমিকা ও ক্ষমতা সমূহ -The role and powers of the Governor in the governance of the State |
ভারতীয় সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপাল উভয়ই হলেন নিয়মতান্ত্রিক শাসক প্রধান। রাজ্যের রাজ্যপালগণ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন। সংবিধানের ১৫৬(১) নং ধারা অনুসারে রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টির ওপর রাজ্যপালের কার্যকালের মেয়াদ নির্ভরশীল। সাধারণত প্রতিটি রাজ্যের জন্য একজন করে রাজ্যপাল থাকেন। অবশ্য দুই বা ততােধিক রাজ্যের জন্যও একজন মাত্র। রাজ্যপাল থাকতে পারেন (১৫৩ নং ধারা)। রাজ্যপালকে শপথ বাক্য পাঠ করান সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাজ্যের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
রাজ্যপাল পরিচিতি
যােগ্যতা ও শর্তাদি :
১. ভারতের নাগরিক, ২. অন্তত ৩৫ বছর বয়স , ৩. সংসদ বা রাজ্য আইনসভার সদস্য না থাকা,
৪. কোন লাভজনক পদে না থাকা।
নিয়ােগ :
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালকে নিয়ােগ করেন। নির্বাচনের কোন বিষয় থাকে না।
মেয়াদ :
পাঁচ বছর; রাষ্ট্রপতির ইচ্ছাধীন।
পদশূন্য :
১. পদত্যাগ, ২. মৃত্যু, ৩. রাষ্ট্রপতির দ্বারা পদচ্যুত।
ক্ষমতা ও কার্যাবলী :
১. শাসন সংক্রান্ত :
নিয়ােগ সংক্রান্ত।
২. আইন সংক্রান্ত :
ক) প্রয়ােজনে ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায় বিধানসভায় সদস্য মনােনয়ন, খ) বিলে স্বাক্ষর, গ) বিধানপরিষদ থাকলে কয়েক জন (শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান) ব্যক্তিকে মনােনয়ন, ঘ) জরুরী সংক্রান্ত প্রভৃতি।
৩. বিচার সংক্রান্ত :
ক) হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ােগ, খ) দণ্ডাদেশ হ্রাস করার ক্ষমতা অর্থাৎ ক্ষমা প্রদর্শন করার ক্ষমতা।
৪. অর্থ সংক্রান্ত :
ক) অর্থবিল, খ) বাজেট গ) আকস্মিক ব্যয় তহবিল।
৫. রাজ্য সরকারের যাবতীয় কাজকর্ম রাজ্যপালের নামে সম্পাদিত হয়।
৬. স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা :
সংবিধানের ১৬৩ নং ধারানুযায়ী রাজ্যপালকে কতকগুলি ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যপালের এই সমস্ত ক্ষমতাকে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বলা হয়। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রী সভার পরামর্শ শুনতে বাধ্য নন। স্বতন্ত্র উন্নয়ন পর্ষদ, উন্নয়নমূলক ব্যয়ের ন্যায়সঙ্গত বন্টন, বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হলে রাজ্যপাল স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়ােগ করেন।
রাজ্যপালের শাসন ও আইনসংক্রান্ত ক্ষমতা :
রাজ্যপাল বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রীকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিয়ােগ করেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে তিনি অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়ােগ করেন। রাজ্যপাল আইনসভার অধিবেশন আহ্বান ও স্থগিত রাখতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে বিধানসভা ভেঙ্গে দিতে পারেন।
রাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট রাজ্যে শাসনতান্ত্রিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে মনে করলে রাষ্ট্রপতির কাছে জরুরী অবস্থা (৩৫৬ ধারা)-র সুপারিশ করতে পারেন। রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া রাজ্য আইনসভা কর্তৃক কোন বিল আইনে পরিণত হতে পারে না। অধিবেশন বন্ধ থাকাকালীন রাজ্যপাল অর্ডিন্যান্স জারী করতে পারেন, তবে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ৬ সপ্তাহের মধ্যে অনুমােদিত না হলে বাতিল হয়ে যাবে। তিনি অডিটার জেনারেল, সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান প্রভৃতি নিযুক্ত করেন।
রাজ্যপালের অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা :
রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া রাজ্য আইনসভায় কোন ব্যয় বরাদ্দের দাবি পেশ কিংবা কোন অর্থবিল উত্থাপন করা যায় না। রাজ্যের বাজেট তিনি অর্থমন্ত্রী মারফত বিধানসভায় উত্থাপন করেন। রাজ্যপালের হাতে রাজ্যের ‘আকস্মিক ব্যয় তহবিল’ এর দায়িত্ব ন্যাস্ত থাকে।
রাজ্যপালের বিচার সংক্রান্ত ক্ষমতা :
রাজ্যপালের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ােগ করেন। রাজ্যের দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতের বিচারপতিদের নিয়ােগ করেন। আইন ভঙ্গের অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীর দণ্ডাদেশ হ্রাস করার, স্থগিত রাখার, এমনকি ক্ষমা প্রদর্শন করার ক্ষমতা রাজ্যপালের রয়েছে। তবে মৃত্যুদণ্ডজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা রাজ্যপালের নেই। এই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির রয়েছে।