বীরভূম সমন্ধে প্রতিবেদন রচনা

বীরভূম সমন্ধে প্রতিবেদন রচনা

বীরভূম সমন্ধে প্রতিবেদন রচনা
বীরভূম সমন্ধে প্রতিবেদন রচনা


০ বীরভূম ০

সীমানা: 

উত্তরে মালদহ , দক্ষিণে বর্ধমান, পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাঁওতাল পরগনা ও পূর্বে মুরশিদাবাদ।  


আয়তন: 

৪,৫৪৫ বর্গকিমি।


জনসংখ্যা: 

(২০০১) ৩০,১২,৫৪৬ জন।


জনঘনত্ব: 

৬৬৩ জন। 


সাক্ষরতার হার: 

জেলার শিক্ষিতের হার ৬২.১৬ শতাংশ। যাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৭১:৫৭ শতাংশ এবং মহিলা ৫২:২১ শতাংশ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্থাপিত ‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (স্থাপিত-১৯৫১) ছাড়াও আই.টি.আই. ও পলিটেকনিক কলেজ ১টি করে এই জেলায় অবস্থিত। 


কৃষিফলন : 

ধান উৎপাদনে ষষ্ঠ, গম উৎপাদনে পঞ্চম, ডিম উৎপাদনে তৃতীয় ও দুধ উৎপাদনে চতুৰ্থ স্থান অধিকার করে আছে এই জেলা। এছাড়াও এখানে ছােলা, আখ, তৈলবীজ ও বাবুই ঘাস ভালাে উৎপাদিত হয়। 


খনিজ দ্রব্য: 

গ্রানাইট, নাইস শিলা ও চিনামাটি। 


প্রধান প্রধান নদী: 

বক্রেশ্বর, দ্বারকেশ্বর, ব্রাম্হনি (অযােধ্যা ব্রাম্হনি নামক ৬১ মিটার খাড়া জলপ্রপাত থেকে সৃষ্টি), ময়ুরাক্ষী, পাগলা, কুলা, শাল ও হিংলা নদী এই জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া তিলাইয়া বাঁধ এই জেলায় অবস্থিত। 


মহকুমার সংখ্যা: 

(১৯৯৮) ৩টি—সিউড়ি, বােলপুর ও রামপুরহাট। 


জেলা সদর: 

সিউড়ি। 


রেলপথ: 

পূর্ব ভারতের রেলপথ সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের মাধ্যমে এই জেলাকে কেন্দ্র করে উত্তর দক্ষিণে বিস্তৃত। নলহাটি থেকে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত এই রেললাইন গেছে। 


লােকসভা আসন: 

২টি—বীরভূম, বােলপুর। 


বিধানসভা আসন: 

(১২টি) ময়ূরেশ্বর, নানুর, রাজনগর, হানসান, বােলপুর, লাভপুর, দুবরাজপুর, | মহম্মদবাজার, সিউড়ি, রামপুরহাট, নলহাটি, মুরারই। 


গ্রাম পঞ্চায়েত: 

(১৯৯৯) ১৬৭টি। 


পঞ্চায়েত সমিতি: 

(১৯৯৯) ১৯টি। 

থানা ও ব্লক: ১৮টি থানা ও ১৯টি ব্লক। 


পুরসভা (১৯৯১): 

সিউড়ি, রামপুরহাট, বােলপুর, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া ও নলহাটি। 


দর্শনীয় স্থান: 

এই জেলা বৈষ্ণৱ শাক্ত ও শৈব পীঠস্থান হিসাবে প্রাচীনকাল থেকেই পরিচিত।।

জলজোল গ্রামে ৫১ পীঠের অন্যতম কঙ্কালীর মন্দির আছে। তারাপীঠ, শান্তিনিকেতন, বােলপুর, শ্রীনিকেতন, নলহাটি, বক্রেশ্বরে উষ্য প্রস্রবণ ও মহিষমর্দিনীর মন্দির, জয়দেবের জন্মভূমি কেন্দুবি, চণ্ডীদাসের নানুর গ্রাম এই জেলার প্রধান প্রধান দর্শণীয় স্থান। এছাড়াও সাঁইথিয়ায় নন্দীকেশরীর মন্দিরও ৫১ পীঠের অন্যতম বলে বিবেচিত হয়। এই জেলার লাভপুর গ্রামে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন। 

  • বীরভূম রুক্ষ রাঢ়ের অংশ। দক্ষিণ-পূর্ব অংশ পালি গঠিত। সাহেবগঞ্জ থেকে শুরু করে সব জায়গায় লাল ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা। 
  • জেলার প্রধান নদী—ময়ুরাক্ষী, অজয়, দ্বারকা, ব্ৰায়ণী। কোপাই ও অজয় বর্ধমানের সীমানা নির্ধারণ করে।
  • সউড়ির অদূরে ময়ুরাক্ষী নদীর ওপর তিলপাড়া ব্যারেজ ও ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনায় মশানজোড়ে কানাডা তৈরি করে। সেচ ও বিদ্যুৎ তৈরির জন্য জলসম্পদ ব্যবহার করে।।
  • সিউড়ি থেকে ১৮ কিমি দূরে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। এখানে গন্ধযুক্ত উষ্ণ প্রস্রবণ আছে। 
  • ১৮৬৩ সালে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ বােলপুরের ভুবনডাঙা গ্রামে শান্তিনিকেতন নামে গৃহনির্মাণ করেন। ১৯২১ সালে গড়ে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।


Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.