হর্ষবর্ধনের জীবনী, সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি

হর্ষবর্ধনের জীবনী, সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি 


হর্ষবর্ধনের জীবনী, সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি
হর্ষবর্ধনের জীবনী, সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি 


 হর্ষবর্ধন (৬০৬ - ৬৪৭ খ্রিস্টাব্দ)

১. থানেশ্বরের পুষ্যভূতি বংশে জন্ম। 


২. পিতা - প্রভাকর বর্ধন, মাতা - যশােমতী (স্বামীর মৃত্যুর পরে সহমরণে সতী হয়েছিলেন) জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা - রাজ্যবর্ধন, ভগিনী - রাজ্যশ্রী (মৌখরি বংশের শেষ রাজা গ্রহবর্মাকে বিবাহ করেছিলেন)।


৩. হিউয়েন সাঙ ভারত ভ্রমণে এসেছিলেন।

৪. হর্ষবর্ধন প্রথম জীবনে শৈব ছিলেন কিন্তু পরবর্তীকালে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন।  

৫.বাণভট্ট হর্ষচরিত’ ও কাদম্বরী’ গ্রন্থটির রচয়িতা ছিলেন।

৬. হর্ষবর্ধন তিনটি নাটক রচনা করেছিলেন প্রিয়দর্শিকা, রত্নাবলী, নাগানন্দ। 

৭. হর্ষ তার রাজধানী কনৌজে স্থানান্তরিত করেছিলেন। 

৮ চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশী হর্ষবর্ধনকে প্রতিহত করেছিলেন। নর্মদা নদ ওই দুই রাজ্যের সীমানা হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল। 

৯. চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙের গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, হর্ষবর্ধন তার রাজস্বকে চারভাগে বিভক্ত করেছিলেন। একটি ভাগ খরচ হত রাজার জন্য, দ্বিতীয়ভাগ পণ্ডিতদের জন্য, তৃতীয়ভাগ . সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেবার জন্য এবং চতুর্থভাগ ধার্মিক কার্যে ব্যয় হত। 

১০. বৌদ্ধধর্মের প্রতি তিনি বিশেষ অনুরক্ত ছিলেন। সেজন্য তিনি মহাযান সম্প্রদায়ের প্রচারের জন্য রাজধানী কনৌজে বিশাল সম্মেলনের আয়ােজন করেছিলেন। কনৌজের পর প্রয়াগেও তিনি সম্মেলনের আয়ােজন করেছিলেন যাতে ভারতবর্ষের গণ্যমান্য রাজপুত্র, মন্ত্রী, পণ্ডিতগণ যােগদান করেছিলেন। 

১১. হর্ষবর্ধনের রাজত্বের সময় কনৌজকে উত্তর ভারতের সার্বভৌম রাজত্ব হিসেবে গণ্য করা হত। 

১২. ‘শিলাদিত্য’ কার উপাধি ছিল? হর্ষবর্ধনের। 

১৩. হর্ষবর্ধনের লেখা একটি বইয়ের নাম বলাে? -নাগানন্দ।

১৪. স্কন্দগুপ্তের মৃত্যুর পর কোন্ হুননেতা ভারত আক্রমণ করেছিল? —তোরমান । 

১৫. দক্ষিণ ভারতের কোন্ রাজা হর্ষবর্ধনকে পরাজিত করেন? —দ্বিতীয় পুলকেশী। 

১৬. হর্ষবর্ধন কোন্ বংশের রাজা ছিলেন ? পুষ্যভূতি।

১৭. হিউয়েন সাঙ-এর ভ্রমণবৃত্তান্তটির নাম কী? —সি-ইউ-কি। 

১৮. পুষ্যভূতি রাজাদের রাজধানী ছিল ? কনৌজ।। 

১৯. বাংলার পালবংশের প্রথম রাজা কে ছিলেন? -গােপাল। 

২০. সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন? -সামন্ত সেন।

২১. বাংলার সেন বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন? —লক্ষণ সেন

২২. গীতগােবিন্দ’ গ্রন্থটি কার লেখা? —জয়দেবের লেখা। 

২৩. লক্ষণ সেনের রাজত্বকালে কোন্ তুর্কি মুসলিম নেতা বাংলা আক্রমণ করে? —ইক্তিয়ারউদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি। 

২৪. বিক্রমাঙ্কদেব চরিত’ কার লেখা? -বিলহনের । 

২৫. ‘মিতাক্ষরা’ আইন গ্রন্থটি কার রচনা? —পণ্ডিত বিজ্ঞানেশ্বরের। 

২৬. কৈবর্ত বিদ্রোহের নেতা কে? কোন পালরাজার সময় ইহা হয়? — দিব্য বা দিব্যক। দ্বিতীয়
মহীপালের সময়। 

২৭. সন্ধ্যাকর নন্দী কে ছিলেন? রামপালের সভাকবি। 

২৮. পল্লব বংশের সর্বশেষ রাজা কে ছিলেন? —অপরাজিত বর্মন। 

২৯. চোলদের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন? —প্রথম রাজেন্দ্ৰ চোলদেব। 

৩০. কোন্ পল্লব রাজার আমলে মহাবলিপুরমের রথ মন্দিরগুলি নির্মিত হয়েছিল? প্রথম নরসিংহবর্মনের। 

৩১. চোলবংশের শেষ শক্তিশালী রাজা কে? —কুলােতুঙ্গ।

৩২. কৌলীন্য প্রথা কে প্রবর্তন করেন? বল্লাল সেন।

  • RRB NTPC Practice set pdf


সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি 


১. অতীশ দীপংকর কোথাকার অধ্যক্ষ ছিলেন? –বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়। 

২. তিব্বতের মানুষ দীপংকর শ্রীজ্ঞানকে কী নামে জানত? —অতীশ। 

৩. দীপংকর শ্রীজ্ঞান কোথায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন? —তিব্বতে। 

৪. পালযুগে পূর্বভারতের পৃথিবী বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম কী?—বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যাল 

৫. কবি বিলহণ কার সভাকবি ছিলেন? কল্যাণের চালুক্যরাজ যষ্ঠ বিক্রমাদিতে 

৬. চোল রাজাদের স্বর্ণমুদ্রার নাম কী? —কাশু। | 

৭. পালযুগে বাংলার শ্রেষ্ঠ বন্দর কোনটি? “তাম্রলিপ্ত। 

৮. পালযুগে দু-জন বিখ্যাত শিল্পীর নাম কী ? —ধীমান ও বীতপাল। 

৯. পালযুগে বাংলার শ্রেষ্ঠ কবি ছিলেন? সন্ধ্যাকর নন্দী। 

১০. সেনযুগের বিখ্যাত শিল্পীর নাম কী? —শূলপাণি, তথাগতসার। 

১১. দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর’ কার লেখা? —বল্লাল সেনের। 

১২. লক্ষ্মণ সেনের সভাকবির নাম কী? —বৈষ্ণব কবি জয়দেব। 

১৩. পৃথিবীর বৃহত্তম বিষ্ণুমন্দিরটি কে, কোথায় নির্মাণ করেন? —দ্বিতীয় সূর্যবর্মন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কম্বােজ রাজ্যে। 

১৪. সেন বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন? -লক্ষ্মণ সেন। 

১৫. অতীশ দিপংকর কে ছিলেন? —বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও ‘ব্রজ-যান-সাধন
গ্রন্থের রচয়িতা।


১৬. শৈলেন্দ্র রাজাদের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কী? — বরবুদুরের বৌদ্ধ স্তপ। 

১৭. বরবুদর কোথায় অবস্থিত ? যবদ্বীপ বা জাভাদ্বীপে। 

১৮, কোন্ চোল রাজা যবদ্বীপে আধিপত্য স্থাপন করেছিলেন? প্রথম রাজেন্দ্র চোল।

১৯. পৃথিবীর বৃহত্তম শিবমন্দিরটির নাম কী? -বেয়নের শিবমন্দির। 

২০. কোন্ অঞ্চলকে ‘সুবর্ণভূমি’ বলা হয়? –দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সুমাত্রা, জাভা প্রভৃতি দ্বীপকে। 

২১. সারদা মঠের প্রতিষ্ঠাতা কে? – জগৎগুরু শঙ্করাচার্য।


Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.